দোকানে গিয়ে পোশাক দেখে যে তথ্য আমরা পাই, তার চেয়ে বেশি পাই অনলাইনে। আর অনলাইনে কেনাকাটার সময় বেশি প্রাধান্য পায় খাবার আর পোশাক।
বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের স্বপ্ন নিয়ে আজকাল এগিয়ে যান অনলাইনের মাধ্যেমেই। বাংলাদেশের ফ্যাশন সচেতন অনেক নারীর কাছেই দেশি পোশাকের পাশাপাশি দিল্লী বুটিক্সের কুর্তি, আনারকলি অথবা গাউনও রয়েছে পছন্দেরও তালিকায়।
নান্দনিক ডিজাইনের এইসব পোশাকের সমাহার নিয়ে কাজ করছে রেড রোজ ক্রিয়েশন। লিলা রোজারিও ২০১৭ সালের শুরুর দিকে অনলাইন ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন।
লিলা রোজারিও জানালেন তার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প। তিনি বলেন, রেড রোজের পথচলা শুরু হয় ২০১৫ সালে। তখন থেকেই বিভিন্ন মেলায় অংশ নিয়ে বেশ পরিচিতি পেয়েছি। কিন্তু মহামারি করোনা আসার পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে আমরা শুধু অনলাইনেই ব্যবসা পরিচালনা করছি।
স্কুল শিক্ষক বাবা চাইতেন লিলা পড়াশোনা করে নিজের পায়ে যেন দাঁড়াতে পারে। বাবার ইচ্ছা ও চেষ্টায় পড়াশোনা শেষ করে চাকরিতে যোগ দেন। এরপর নিজের পছন্দে বিয়ে করেন টেড সেতু ঘোষকে। তিনিই লিলাকে চাকরির পাশাপাশি উৎসাহ দিয়ে, পাশে থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখান। আর এভাবেই শুরু হয় তার ব্যবসায়ী জীবন।
দিল্লী, জয়পুর, যোধপুর, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং লখনউ থেকে সরাসরি পোশাক আনেন লিলা। অরিজিনাল ও মানসম্মত পণ্য সময়মতো পৌঁছে দিয়ে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করেছে রেড রোজ ক্রিয়েশন।
দুই সন্তান ও সংসার সব সামলে ক্রেতাদের জন্য প্রতিদিন লাইভে এসে পণ্যের বিস্তারিত তুলে ধরেন লিলা। আর তার কথা বলার মাঝেই দর্শকদের সঙ্গে এক ধরনের বন্ধুত্বও হয়ে গেছে। যার কারণে প্রায়ই দেখা যায়, তার অনেক ক্রেতাই নিয়মিত লাইভ দেখেন ও পোশাক নেওয়ার পাশাপাশি তাকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
শোরুম খোলা নিয়ে তিনি জানালেন, আপাতত এই রকম চিন্তা ভাবনা আমাদের নেই, এই করোনা পরিস্থিতি ঠিক হলে এটা নিয়ে নিশ্চয় ভাববো।
রেড রোজ ক্রিয়েশনের চমৎকার সব কালেকশন দেখতে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।
রাইজিং বিডিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়তে এখানে ক্লিক করুন।